আগরতলা, ৪ মে ।। ভারতীয় জনতা পার্টির ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম স্লোগান, ৪০০পার। ভারতীয় জনতা পার্টির এই লক্ষ্যকে বাস্তব রূপ দিতে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুত্ব দিচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভার মধ্যে ৩০টি আসনে জয়লাভ করা। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে জয়লাভের জন্য প্রচার এবং নির্বাচনী পরিকল্পনার দায়িত্ব দিয়েছে ত্রিপুরার প্রদেশ নেতৃত্বদের উপর। ত্রিপুরার দুটি আসনে ইতিমধ্যেই প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়ে গেছে। ত্রিপুরার দুটি আসন এবারও যে বিজেপি জয়লাভ করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত। ত্রিপুরার নির্বাচন শেষ হতেই, ত্রিপুরার প্রদেশ নেতৃত্ব বিধায়কদের অধিকাংশই এখন পশ্চিমবঙ্গের এক একটি লোকসভা আসনের প্রচার এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহাও একদফা প্রচার সেরে গেছেন। আবারও মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের প্রচারে যাচ্ছেন। ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির খাস তালুক দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছেন। এই লোকসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী রয়েছেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। শ্রীমতি রায় ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে দেবশ্রী চৌধুরীর পক্ষে রোড শো থেকে শুরু করে বুথ কার্যকর্তাদের নিয়ে সভা করছেন। আজ দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকাতে, তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঘরে গিয়ে সহমর্মিতা জানান এবং কর্মীদের উৎসাহিত করেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য লোকসভা কেন্দ্রেও ত্রিপুরার নেতৃবৃন্দরা দায়িত্ব নিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে, মেদিনীপুর কেন্দ্রে প্রদেশ বিজেপির তাত্ত্বিক নেতা তথা বিজেপির মুখাপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যী, ত্রিপুরা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন প্রচার এবং পরিচালনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এক কথায় বলা যায় এবারের পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির নেতৃবৃন্দদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।